যেভাবে ‘হ্যাকিং’ থেকে সেফ রাখবেন ফেসবুক আইডি। How to Keep Safe From Hacking Facebook ID।
যেভাবে ‘হ্যাকিং’ থেকে সেফ রাখবেন ফেসবুক আইডি। How to Keep Safe From Hacking Facebook ID।
ব্রিটেন ভিত্তিক রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার হাতে ব্যবহারকারীদের তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় মাধ্যমটির সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, কয়েকটা বিষয় নিয়ে একটু সতর্ক থাকলে সহজেই বাঁচা যাবে হ্যাকারদের হাত থেকে। ফেসবুকের আরো কিছু ক্ষতিকর দিক থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে।ব্যক্তিগত তথ্যগুলি ফেসবুকে প্রকাশ করার আগে মাথায় রাখা উচিত বেশ কয়েকটা জিনিস। ফেসবুকে ইউজারের নাম এবং ঠিকানা থেকেসহজেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য হাতে পেয়ে যান হ্যাকাররা। তার উপরে ফোন নম্বর শেয়ার করলে তো আর রক্ষা নেই। অনর্গল ফোন কল পেতে থাকবেন হ্যাকারদের কাছ থেকে।
সমস্যা ফেসবুকে বেশি বন্ধু বানানো নিয়েও। অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইন্সটিটিউটের প্রফেসর রবিন ডানবার বলছেন, ‘পরিচয় হতে পারে অনেকেরই সঙ্গে। তবে একসঙ্গে ১৫০ জন বন্ধুর সঙ্গেই একজন মানুষ সম্পর্ক রাখতে পারেন।’ ডানবার পরখ করে দেখেছেন ফেসবুকে তার বন্ধুদের মধ্যে ৪.১ শতাংশ সম্পূর্ণভাবে ডানবারের উপরে নির্ভরশীল আর ১৩.৬ শতাংশ ইউজারের মুখ দেখা যায় কেবলই তাদের প্রয়োজনে, তাদের ইমোশনাল ক্রাইসিসের সময়ে। রবিন মনে করেন, এমন অপ্রয়োজনীয় বন্ধু এড়িয়ে গেলে ভালই হবে ব্যবহারকারীদের।
অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইন্সটিটিউটের আরেক প্রফেসর ভিক্টোরিয়া ন্যাশ আজকের বাচ্চাদের নিয়ে একটা প্রশ্ন তুলে ধরেছেন। পরবর্তী কালে নিজেদের কী ধরনের তথ্য ফেসবুকের মাধ্যমে দেখতে আগ্রহী হবে বাচ্চারা? ন্যাশের বক্তব্য, ‘এই প্রশ্নটা আগে প্রাসঙ্গিক ছিল না, কিন্তু আজ বেশ প্রাসঙ্গিক। কারণ, আজকাল বাচ্চাদের ছবি ফেসবুকে দেয়ার একটা হিড়িক চলছে অভিভাবকদের মধ্যে।’
স্কুল থেকে ফিরেই বাবা-মায়ের ফেসবুকে ঢুঁ মারার ঝোঁক রয়েছে আজকের বাচ্চাদের। আর তাতেই থাবা বসাচ্ছে ‘ব্লু হোয়েল’ এর মতো প্রাণনাশক কিছু গেম। এমনটা নয় যে, ফেসবুক ছাড়াও বাচ্চারা এইসব গেমের ব্যাপারে জানতে পারবে না। তবে ফেসবুক বাচ্চাদের মনে নতুনকে জানার খিদে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর তার থেকেই ঘটে যাচ্ছে বিপদ। এমনকি যৌন অপরাধীদেরও খপ্পরে পড়তে হচ্ছে কচিকাঁচাদের।
ফেসবুকে লোকেশন সেট করে রাখা আরেক বিপদের কাজ। এই লোকেশন সেট করে রাখলেই আপনার অবস্থানের বিষয়ে বিশদে জেনে যাচ্ছেন হ্যাকাররা। সে জায়গায় আপনার বাড়ি বা কর্মস্থান নাও হতে পারে, কিন্তু আপনাকে খুঁজে বার করা হ্যাকারদের বাঁ হাতের খেল। আর যদি মোবাইল থেকে ফেসবুক অ্যাকসেস করেন আর লোকেশনও শেয়ার করেন তা হলে তো বিপদ আপনার দোরগোড়ায়।
কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন, এমন সব কিছুই জেনে ফেলছে ফেসবুক। ফেসবুক থেকে অন্য কোনো পেজে ঢুকে কখনো কেনাকাটা করতে, কখনো আবার অন্য কোনো কাজে ক্রেডিট কার্ডের যাবতীয় তথ্য দেয়া ঠিক নয়। ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর বোর্ডিং পাসের তথ্য শেয়ার করা। কেননা এই পাসের বারকোড নম্বর দিয়ে হ্যাকাররা যাবতীয় তথ্য পেয়ে যেতে পারে।
No comments
Post a Comment